মার্চ ১৬, ২০২৩
হেযবুত তওহীদের দুই সদস্যকে হত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন
প্রেস বিজ্ঞপ্তি : বিগত ২০১৬ সালের ১৪ই মার্চ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে গুজব ছড়িয়ে হেযবুত তওহীদের দুই সদস্যকে হাত পায়ের রগ কেটে চোখ উপড়ে জবাই করে ও পুড়িয়ে হত্যার প্রতিবাদে এবং অতি দ্রæত আসামিদের বিচার কার্যক্রম শুরু করার দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। হেযবুত তওহীদের সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি এস এম নুর আলম এতে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান শামীম কালীগঞ্জ থানা সভাপতি আশলাফুল ইসলাম, কলারোয়া সভাপতি মোঃ সেলিম খান, নারী সম্পাদীকা মোছাঃ সোরাইয়া পারভীন রিমা, সাবেক সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি শেখ মনিরুল ইসলাম। উক্ত অনুষ্ঠানে আরো যারা উপস্থিত ছিলেন নাঈন আল ইমরান, মহিব্বুল্লাহ, আরমান আলী, মোঃ জোবায়ের হোসেন, আনিকা বুশরা প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ। এসময় বক্তারা বলেন, নোয়াখালী সোনাইমুড়ীতে ধর্ম ব্যবসায়ী উগ্রবাদীদের হত্যাজ্ঞের ০৭ বছর পেরিয়ে গেলেও এর বিচার শুরু হয়নি, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এমন নির্মম পৈশাচিক হত্যাকান্ডে বিচার এভাবে ঝুলে থাকতে পারে না। বিচারের দীর্ঘসূত্রিতার ফলে আসামিরা এখন বীর দর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই অপপ্রচারকারী ও হামলার চক্রান্তকারী কুচক্রী মহালকে দ্রæত আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা অত্যন্ত জরুরী হয়ে উঠেছে। এদের বিরুদ্ধে এখনই আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে, এরা যে কোন ধরনের তান্ডব সৃষ্টি করতে পারে। সে ক্ষেত্রে কেবল হেযবুত তওহীদই ক্ষতিগ্রস্থ হবে না, সেই সাথে ক্ষতিগ্রস্থ হবে সমাজ, ক্ষতিগ্রস্থ হবে দেশ। এসময় ধর্ম ব্যবসায়ী উগ্রবাদীদের দারা যেন আর একটা প্রাণ ও না ঝরে এবং দ্রæততার সাথে ইব্রাহীম রুবেল ও সোলাইমান খোকনের হত্যাকারীদের বিচার কার্য শুরু করার জোর দাবি জানান তারা। এসময় বক্তা সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে বলেন, হেযবুত তওহীদের নেতা-কর্মীদের উপর দেশের বিভিন্ন জায়গায় এ পর্যন্ত সাড়ে চার শতাধিক বার হামলা করা হয়েছে, শুধু গত ছয় মাসে অন্তত ৫০টি হামলার শিকার হয় দলটির নেতাকর্মীরা। এসব হামলায় নেতৃত্বদানকারী সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদেরকে গ্রেফতার করতে হবে। হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ওয়াজ-মাহফিলে, মসজিদে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা অপপ্রচার ও গুজব রটনা করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা উষ্কানি দেওয়া হচ্ছে। এসব উস্কানি দাতাদের বিরুদ্ধে দ্রæত আইনী পদক্ষেপ নিতে হবে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেযবুত তওহীদের এমাম ও সদস্যদের ক্রমাগত হামলা জবাই করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এসব অপরাধীদের গ্রেফতার করে ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলায় বিচার ও দলের নেতাকর্মীদের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে ইতো পূর্বে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা গুলো অবিলম্বে প্রত্যাহার ও নেতাকর্মীদের অহেতুক হয়রানি বন্ধ করতে হবে। সারা দেশে ধর্ম ব্যবসা, সাম্প্রদায়িকতা, উগ্রবাদ ও গুজব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে হেযবুত তওহীদের সভা-সমাবেশ নির্বিঘœ করতে স্থানীয় প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করতে হবে। দেশও জাতির কল্যাণার্থে নিজস্ব অর্থায়নে সাম্প্রদায়িকতা, উগ্রবাদ, ধর্মীয় উম্মাদনা, গুজব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ইসলামের সুমহান আদর্শ তুলে ধরছে হেযবুত তওহীদ। জাতীয় স্বার্থে আদর্শটি কার্যকর করার জন্য বিবেচনা করা। মানববন্ধন শেষে খোকন রুবেলের হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে এবং উগ্রতা, ধর্ম ব্যবসা, ধর্মন্ধতা ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। 8,620,942 total views, 494 views today |
|
|
|